Posts

Showing posts from 2016

kolkatar KABULIWALA

Image
PAGE 1 PAGE 2 PUBLISHED IN  'SAPTAHIK BARTAMAN'  FEBRUARY  2016

NIMONTRON BARIR KATHA

Image

দেশপ্রেমী বনাম দেশদ্রোহী: একটি অভিজ্ঞতা।

কয়েকদিন আগেই কলকাতার ইডেন উদ্যানে T20 ওয়ার্ল্ড কাপে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট যুদ্ধ হয়ে গেল। সেই ব্যাট বলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাঙালির ঘাড়ে দেশপ্রেমের যে গুরুভার চেপে বসেছিল(খানিকটা যেচেই চাপিয়ে নিয়েছিল আরকি) তার সামনাসামনি হয়ে একটি চমৎকার অভিজ্ঞতার কাহিনী লিখে ফেলার ঝুঁকি নিয়েই ফেললাম। অভিজ্ঞতা ১- খেলার আগের দিন কথা হচ্ছিলো কয়েকজন বন্ধুতে মিলে, আলোচনা যা হয়ে থাকে। ইতিহাস-টাস টেনে এনে কে কবে জিতেছে,কবার জিতেছে,সেবার কোন রঙের জার্সি পড়েছিল,সেবার সৌরভ ছিল( খেলোয়াড় হিসাবে,প্রেসিডেন্ট নয়),এবার বিরাট খেলে দেবে,ইত্যাদি নানান বিশ্লেষণ এবং তার সাথে 'টিকেট পেলাম না রে' বলে হাহাকার মাঝে মধ্যেই উঠছিলো। তা এমন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাঝে আমি বেশ শান্ত গলায় একবার বলে ফেললাম, 'এবার পাকিস্তান টিম বেশ ভালো,ভারত হেরে যাবে হয়তো ' সব বাক্য মাঝপথেই থেমে গেল,সব মাথা ঘুরে গেল আমার দিকে,এমন আশ্চর্য ভাবে বাকিরা আমার দিকে তাকাতে লাগলো যেন আমি সদ্য মঙ্গলগ্রহ থেকে এসে পড়লাম। আমার এক বন্ধু প্রথম বাক্যটি(exclamatory sentence)প্রকাশ করলো,"তুই তো দেশদ্রোহী দেখছি রীতিমতো" নতুন সম্বোধন

History of churches

Image
কলকাতা শহরের কয়েকটি চার্চের ইতিকথা   ডিসেম্বর 2014,সাপ্তাহিক বর্তমানে প্রকাশিত  PUBLISHED IN 'SAPTAHIK BARTAMAN' ON 20TH DEC,2016

বিহার ফুড ডায়েরি

Image
বিহারের রাস্তায় খানাদানা     টুকটাক মুখে যা পড়লো আরকি জানুয়ারী মাসে আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে পা রাখার সুযোগ হযেছিল এবার।রাজগিরে ঘাঁটি গেড়ে একে একে নালন্দা ,বোধগয়া,পাওয়াপুরি আর সেই সাথে রাজগিরের চারপাশে যা যা দর্শনীয় ছিল তা দেখার ফাঁকে বিহারের রাস্তার ধারে যা খানাদানা পাওয়া যায় তাও চেখে দেখতে ভুলিনি।(খাবার জিনিস কি ভোলনীয় ??) তবে প্রথমেই বলে রাখি আমার এই খাদ্য অভিযান উপরে উল্লিখিত কয়েকটি স্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাই হে বিহারপুত্রগণ,"বিহার ফুড ডায়েরি" নামকরনের  দোষ নিও না। ১.লিট্টি বিহারের খাবার বললেই আমাদের সবার মনে (তাজমহলের মত পরিচিত) যে নামটা হানা দেবে তা হলো "লিট্টি আর আলুচোখা।" আমার বাড়ির লোকেরা এই খাদ্যটিকে 'ছাতুর পিন্ডি ' বলে অভিহিত করলেও আমার খেতে চমত্কার লাগে। ফুচকার মতো দেখতে,কিন্তু নিরেট এই সেঁকা নিরীহ লিট্টি খাদ্য সমাজের শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে প্রথম স্থান পেতে বাধ্য। প্রথম পর্ব ---- পৌছবার দিন সন্ধেবেলা লিট্টির খোঁজে রাজগির বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন অঞ্চলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। আমার ধারণা ছিল বিহারের প্রায় '

আমার সান্দাকফু আরোহন বৃত্তান্ত

আমার সান্দাকফু আরোহন  বৃত্তান্ত  বছরের শেষ কয়েকদিন বেশ খানিকটা রোমাঞ্চকর ভাবে কাটাবার আশায় বন্ধুদের সাথে মিলে সান্দাকফু যাবার প্ল্যানটা করেই ফেলা গেল।  ২৫ডিসেম্বর যাত্রা শুরু আর ৩১শে  ফেরা। ২০১৪ তে জীবনের প্রথম ট্রেকিং করার আশায় আমি রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পরেছি তখন। ধর্মতলা ঘুরে ঘুরে ট্রেকিং ব্যাগ গরম জামাকাপড় কেনা হলো ;সান্দাকফুতে ডিসেম্বরে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে গেছে বলে জানা গেছে,তাই আমরা  নিজেদের বাঁচাবার সবরকম জিনিসই ট্রেকিং ব্যাগে মোটামুটি মজুত করতে পেরেছিলাম। কিছু  অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ অনুযায়ী  আদার মোরব্বা,মধু ,দড়ি ,জোগাড় করা হলো না বলে খানিকটা শঙ্কাও ছিল তা অস্বীকার করব না। ধর্মতলা থেকে বাসে উঠে পড়লাম। আমার আবার বাসে উঠলেই কিরকম 'বমি পাচ্ছে ,বমি পাচ্ছে ' মনে হয়;তাই রিস্ক না নিয়ে পতির সাথে ঝগড়াঝাটি করে জানলার ধারটা আদায় করলাম(ব্যাটা কিছুতেই বসতে দিচ্ছিল না);মোটামুটি ১৬ টি ঘন্টা ক্লান্তিকর বাস জার্নির পর আমরা নামলাম শিলিগুড়ির মাটিতে। মাঝে বাসযাত্রার বাথরুম এপিসোডটা ইচ্ছে করেই বাদ দিলাম।শিলিগুড়ির হোটেলে স্নান ক্র্ক্ষে গিয়ে মাইতির ভুল জায়গায় গরম জল ঢেলে লাফালাফি